লেখাটি পোস্ট করেছেন: মো: এরশাদ আলী
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস : (১৯৪৩-১৯৯৭) কথাসাহিত্যিক । পূর্ণনাম আখতারুজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস ।জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারী
গাইবান্ধায় ।
তার উল্লেখযোগ্য রচনা : আন্যঘরে অন্যস্বর
(১৯৭৬), খোয়ারী (১৯৮২), দুধেভাতে উত্পাত (১৯৮৫), চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭)
দোযখের ওম (১৯৮৯), খোয়াবনামা (১৯৯৬), সংস্কৃতির ভাঙা সেতু
ইত্যাদি । তিনি ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান । খোয়াবনামা
উপন্যাসের জন্য সাদত আলী আখন্দ পুরস্কার
(১৯৯৫)ও কলকাতার আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৬) লাভ করেন । মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৭
সালের ৪ জানুয়ারী ঢাকায় ।
আনোয়ার পাশা : (১৯২৮-১৯৭১) বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ।জন্ম ১৯২৮ সালের ১৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে
। তার রচনাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : নদী নি:শেষিত হলে (১৯৬৩), রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা
(২ খন্ড ১৯৬৩, ১৯৭৩)নীড় সন্ধানী (১৯৬৮), নিশুতি রাতের গাথা
(১৯৬৮), সাহিত্যশিল্পী আবুল ফজল (১৯৬৮),নিরুপায় হরিণী (১৯৭০), রোটি- রাইফেল-আওরাত
(১৯৭৩), সমুদ্র শঙ্খলতা উজ্জয়িনী ও অন্যান্য কবিতা (১৯৭৪) ইত্যাদি ।তার রোটি- রাইফেল-আওরাত (১৯৭৩) মুক্তিযুদ্ধের
পটভূমিতে রচিত । ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী আল বদরের একটি দল তাকে হত্যা করে ।
আব্দুল করিম (সাহিত্যবিশারদ)(১৮৭১-১৯৫৩): সাহিত্যিক, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা এবং প্রাচীন বাংলা পুঁথির সংগ্রাহক
ও ব্যাখ্যাকার । জন্ম চট্টগ্রামে ।তার উল্লেখযোগ্য রচনা হচ্ছে ইসলামাবাদ ও আরাকান
রাজসভায় বাংলা সাহিত্য (মুহম্মদ এনামুল হকের সাথে যৌথভাবে)
নদীয়া সাহিত্য সভা তাকে সাহিত্য সাগর এবং
চট্টল ধর্মমন্ডল সাহিত্যবিশারদ উপাধিতে ভূষিত করে ।
আবদুল কাদির : (১৯০৬-১৯৮৪) কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক । জন্ম ১৯০৬ সালে ১ জুন কুমিল্লায় । সম্পাদনা করেছেন সওগাত
। ছিলেন বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের মুখপত্র শিখার (১৯২৭) প্রকাশক ও লেখক । সম্পাদনা ও প্রকাশ
করেন মাসিক জয়তী (১৯৩০-১৯৩৩) । এছাড়া সাপ্তাহিক নবশক্তি (১৯৩৪), যুগান্তর (১৯৩৮), দৈনিক নবযুগ (১৯৪১), ভারত সরকারের প্রচার
বিভাগের সাপ্তহিক মুখপত্র বাংলার কথা, সাপ্তাহিক মোহাম্মদী (১৯৪৬) এবং সাপ্তাহিক পয়গম (১৯৪৭-১৯৫২)
পত্রিকায়ও তিনি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৫২ সালে ঢাকায় এসে
তিনি মাসিক মাহে নও সম্পাদনা করেন ।
তাঁর কয়েকটি কবিতা ও প্রবন্ধের বই হলো : দিলরুব
(১৯৩৩),উত্তর বসন্ত (১৯৬৭), কবি নজরুল (১৯৭০), ছন্দসমীক্ষণ (১৯৭৯), কাজী আবদুল ওদুদ (১৯৭৬), বাংলা ছন্দের ইতিবৃত্ত
(১৯৮৫), যুগকবি নজরুল (১৯৮৬)ইত্যাদি । এছাড়া সম্পাদনা করেছেন কাব্যমালঞ্চ(১৯৪৫), এয়াকুব আলী চৌধুরী
রচনাবলী (১৯৬৩), নজরুল রচনাবলী (১৯৬৬-১৯৮৪), শিরাজী রচনাবলী (১৯৬৭), কাজী ইমদাদুল হক রচনাবলী (১৯৬৮), আবুল হোসেন রচনাবলী
(১৯৬৮), লু্ত্ফর রহমান রচনাবলী (১ম খন্ড, ১৯৭২), রোকেয়া রচনাবলী (১৯৭৩), বাংলা সনেট (১৯৭৪) ইত্যাদি । স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি
বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৭), একুশে পদক (১৯৭৬), নজরুল একাডেমী স্বর্ণপদক
(১৯৭৭), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন পদক (১৯৭৭),মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৭৭) ও মুক্তধারা পুরস্কার
লাভ করেন । ১৯৮৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয় ।
আবদুল হাকিম : (১৬২০-১৬৯০) মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একজন কবি। নোয়াখালী
জেলার বাবুপুর (মতান্তরে সন্দ্বীপের সুধারাম) ছিল কবির আবাসভূমি । তিনি মূলত প্রণয়োপাখ্যানের
কবি ছিলেন । এ যাবত তার পাঁচটি গ্রন্থ পাওয়া গেছে : ইউসুফ-জুলেখা, নূরনামা, দুররে মজলিশ, লালমোতি সয়ফুলমূলক
এবং হানিফার লড়াই । 'যেসব বঙ্গেত জন্মি
হিংসে বঙ্গবাণী । সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় না জানি ।' বাংলা ভাষার প্রতি এরুপ শ্রদ্ধাপূর্ণ বক্তব্যের জন্য কবির নূরনামা কাব্য বিশেষভাবে
প্রশংসিত ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন