লিখেছেন: হাসানুজ্জামান খান
ফররুখ
আহমদ (জুন ১০,১৯১৮-অক্টোবর ১৯,১৯৭৪)
একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি।
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালে মাগুরা
জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুলনা জিলা স্কুল থেকে
১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক এবং কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯৩৯ সালে আই.এ. পাস করেন। এরপর স্কটিশ
চার্চ কলেজে দর্শন এবং ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ছাত্রাবস্থায়
তিনি বামপন্থী রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়েন। তবে চল্লিশ-এর দশকে তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসে
পরিবর্তন আসে। তিনি পাকিস্তান আন্দোলন সমর্থকন করেন। তাঁর রচনায় ধর্মীয় ভাবধারার
প্রভাব দেখা যায়। এছাড়া আরবী ও ফারসি শব্দের প্রাচুর্য তাঁর লেখার অন্যতম
বৈশিষ্ঠ্য। তবে ডানপন্থার প্রতি সমর্থন থাকলেও তিনি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের
সমর্থক ছিলেন। ফররুখ আহমদ মৃত্যুবরণ করেন ১৯৭৪ সালে ।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪), সিরাজাম মুনিরা
(১৯৫২),
নৌফেল এ হাতেম (১৯৬১), মুহূর্তের কবিতা (১৯৬৩), হাতেমতায়ী (১৯৬৬), হাবেদা মরুর কাহিনী (১৯৮১) ইত্যাদি । পাখির বাসা (১৯৬৫), হরফের ছড়া (১৯৭০), ছড়ার আসর (১৯৭০) ইত্যাদি তাঁর শিশুতোষ
রচনা ।
১৯৬০ সালে ফররুখ আহমদ বাংলা একাডেমী পুরস্কার
লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে পান আদমজী পুরস্কার ও ইউনেস্কো পুরস্কার। ১৯৭৭ ও ১৯৮০ সালে
তাঁকে যথাক্রমে মরণোত্তর একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। (আরো দেখুন)
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর
ঔপন্যাসিক, কবি, গল্পকার,
গীতিকার, নাট্যকার, র, সাহিত্যিক, সুরকার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ –
৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ – ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) বাংলা সাহিত্যের
দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার ও দার্শনিক। ঊনবিংশ
শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে
এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। তিনি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য
১৯১৩ সালে তিনি প্রথম এশীয় হিসাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও
সংস্কৃতি তার সারা জীবনের কর্মে সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে
তিনি বিশ্বকবি, কবিগুরু ও গুরুদেব নামে পরিচিত। তিনি বিশ্বের একমাত্র কবি যিনি
দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা
এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জন গণ মন উভয়টির রচয়িতাই রবীন্দ্রনাথ। বলা যায় তাঁর
হাতে বাঙ্গালীর ভাষা ও সাহিত্য,শিল্পকলা ও শিল্প চেতনা নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে।
কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম জীবনে ছিলেন বিহারীলাল
চক্রবর্তীর (১৮৩৫-১৮৯৪) অনুসারী কবি। তাঁর কবিকাহিনী, বনফুল ও ভগ্নহৃদয় কাব্য
তিনটিতে বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট। সন্ধ্যাসংগীত কাব্যগ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথ
নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেন। এই পর্বের সন্ধ্যাসংগীত, প্রভাতসংগীত, ছবি ও
গান ও কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু ছিল মানব হৃদয়ের বিষণ্ণতা,
আনন্দ, মর্ত্যপ্রীতি ও মানবপ্রেম। ১৮৯০ সালে প্রকাশিত মানসী এবং তার পর প্রকাশিত
সোনার তরী (১৮৯৪), চিত্রা (১৮৯৬), চৈতালি (১৮৯৬), কল্পনা (১৯০০) ও ক্ষণিকা (১৯০০)
কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের প্রেম ও সৌন্দর্য সম্পর্কিত রোম্যান্টিক
ভাবনা। ১৯০১ সালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক
চিন্তার প্রাধান্য লক্ষিত হয়। এই চিন্তা ধরা পড়েছে নৈবেদ্য (১৯০১), খেয়া
(১৯০৬), গীতাঞ্জলি (১৯১০), গীতিমাল্য (১৯১৪) ও গীতালি (১৯১৪) কাব্যগ্রন্থে। ১৯১৫
সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটলে বলাকা (১৯১৬) কাব্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতায়
আধ্যাত্মিক চিন্তার পরিবর্তে আবার মর্ত্যজীবন সম্পর্কে আগ্রহ ফুটে ওঠে। পলাতকা
(১৯১৮) কাব্যে গল্প-কবিতার আকারে তিনি নারীজীবনের সমসাময়িক সমস্যাগুলি তুলে ধরেন।
পূরবী (১৯২৫) ও মহুয়া (১৯২৯) কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ আবার প্রেমকে উপজীব্য
করেন। এরপর পুনশ্চ (১৯৩২), শেষ সপ্তক (১৯৩৫), পত্রপুট (১৯৩৬) ও শ্যামলী (১৯৩৬)
নামে চারটি গদ্যকাব্য প্রকাশিত হয়। জীবনের শেষ দশকে কবিতার আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু
নিয়ে কয়েকটি নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই সময়কার
রোগশয্যায় (১৯৪০), আরোগ্য (১৯৪১), জন্মদিনে (১৯৪১) ও শেষ লেখা (১৯৪১, মরণোত্তর
প্রকাশিত) কাব্যে মৃত্যু ও মর্ত্যপ্রীতিকে একটি নতুন আঙ্গিকে পরিস্ফুট করেছিলেন
তিনি। শেষ কবিতা "তোমার সৃষ্টির পথ" মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা
করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
ছোটগল্প :১৯১৩ সালে
ম্যাকমিলান প্রকাশিত দ্য ক্রেসেন্ট মুন (শিশু ভোলানাথ) অনুবাদগ্রন্থের দ্য হিরো
(বীরপুরুষ) আখ্যানকবিতার নন্দলাল বসুকৃত অলংকরণ ।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের
প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার| মূলত হিতবাদী, সাধনা, ভারতী, সবুজ পত্র প্রভৃতি মাসিক
পত্রিকাগুলির চাহিদা মেটাতে তিনি তাঁর ছোটগল্পগুলি রচনা করেছিলেন। এই গল্পগুলির
উচ্চ সাহিত্যমূল্য-সম্পন্ন। রবীন্দ্রনাথের জীবনের "সাধনা" পর্বটি
(১৮৯১–৯৫) ছিল সর্বাপেক্ষা সৃষ্টিশীল পর্যায়। তাঁর গল্পগুচ্ছ গল্পসংকলনের প্রথম
তিন খণ্ডের চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই রচিত হয় এই সময়কালের মধ্যে। গল্পগুচ্ছ
সংকলনের অন্য গল্পগুলির অনেকগুলিই রচিত হয়েছিল রবীন্দ্রজীবনের সবুজ পত্র পর্বে
(১৯১৪–১৭; প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকার নামানুসারে) তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্প হল
"কঙ্কাল", "নিশীথে", "মণিহারা", "ক্ষুধিত
পাষাণ", "স্ত্রীর পত্র", "নষ্টনীড়",
"কাবুলিওয়ালা", "হৈমন্তী", "দেনাপাওনা",
"মুসলমানীর গল্প" ইত্যাদি।[ শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথ লিপিকা, সে ও
তিনসঙ্গী গল্পগ্রন্থে নতুন আঙ্গিকে গল্পরচনা করেছিলেন।[
রবীন্দ্রনাথ তাঁর গল্পে
পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলি বা আধুনিক ধ্যানধারণা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতেন। কখনও
তিনি মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের বৌদ্ধিক বিশ্লেষণকেই গল্পে বেশি প্রাধান্য দিতেন।
উপন্যাস
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট তেরোটি
উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এগুলি হল: বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩), রাজর্ষি (১৮৮৭), চোখের
বালি (১৯০৩), নৌকাডুবি (১৯০৬), প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮), গোরা (১৯১০), ঘরে বাইরে
(১৯১৬), চতুরঙ্গ (১৯১৬), যোগাযোগ (১৯২৯), শেষের কবিতা (১৯২৯), দুই বোন (১৯৩৩),
মালঞ্চ (১৯৩৪) ও চার অধ্যায় (১৯৩৪)। বৌ-ঠাকুরাণীর হাট ও রাজর্ষি ঐতিহাসিক
উপন্যাস। এদুটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস রচনার প্রচেষ্টা এরপর থেকে ছোটগল্পের
মতো তাঁর উপন্যাসগুলিও মাসিকপত্রের চাহিদা অনুযায়ী নবপর্যায় বঙ্গদর্শন, প্রবাসী,
সবুজ পত্র, বিচিত্রা প্রভৃতি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
প্রবন্ধ ও পত্রসাহিত্য
রবীন্দ্রনাথের সমাজচিন্তামূলক
প্রবন্ধগুলি সমাজ (১৯০৮) সংকলনে সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে লেখা
রাজনীতি-সংক্রান্ত প্রবন্ধগুলি সংকলিত হয়েছে কালান্তর (১৯৩৭) সংকলনে।
রবীন্দ্রনাথের ধর্মভাবনা ও আধ্যাত্মিক অভিভাষণগুলি সংকলিত হয়েছে ধর্ম (১৯০৯) ও
শান্তিনিকেতন (১৯০৯-১৬) অভিভাষণমালায়। রবীন্দ্রনাথের ইতিহাস-সংক্রান্ত
প্রবন্ধগুলি স্থান পেয়েছে ভারতবর্ষ (১৯০৬), ইতিহাস (১৯৫৫) ইত্যাদি গ্রন্থে।
সাহিত্য (১৯০৭), সাহিত্যের পথে (১৯৩৬) ও সাহিত্যের স্বরূপ (১৯৪৩) গ্রন্থে
রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যতত্ত্ব আলোচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্য ও
আধুনিক সাহিত্যের সমালোচনা করেছেন যথাক্রমে প্রাচীন সাহিত্য (১৯০৭) ও আধুনিক
সাহিত্য (১৯০৭) গ্রন্থদুটিতে।[১৪৭] লোকসাহিত্য (১৯০৭) প্রবন্ধমালায় তিনি আলোচনা
করেছেন বাংলা লোকসাহিত্যের প্রকৃতি।ভাষাতত্ত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনা
লিপিবদ্ধ রয়েছে শব্দতত্ত্ব (১৯০৯), বাংলা ভাষা পরিচয় (১৯৩৮) ইত্যাদি গ্রন্থে।
ছন্দ ও সংগীত নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন যথাক্রমে ছন্দ (১৯৩৬) ও সংগীতচিন্তা (১৯৬৬)
গ্রন্থে। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষা-সংক্রান্ত ভাবনাচিন্তার
কথা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা (১৯০৮) প্রবন্ধমালায়। ন্যাশনালিজম (ইংরেজি:
Nationalism, ১৯১৭) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিশ্লেষণ করে তার
বিরোধিতা করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দর্শন বিষয়ে যে বিখ্যাত
বক্তৃতাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি রিলিজিয়ন অফ ম্যান (ইংরেজি: Religion of Man,
১৯৩০; বাংলা অনুবাদ মানুষের ধর্ম, ১৯৩৩) নামে সংকলিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
প্রেক্ষাপটে লেখা জন্মদিনের অভিভাষণ সভ্যতার সংকট (১৯৪১) তাঁর সর্বশেষ
প্রবন্ধগ্রন্থ। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বপরিচয় (১৯৩৭) নামে একটি
তথ্যমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। জীবনস্মৃতি (১৯১২), ছেলেবেলা (১৯৪০) ও
আত্মপরিচয় (১৯৪৩) তাঁর আত্মকথামূলক গ্রন্থ।
মাইকেল
মধুসূদন দত্ত
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪ – জুন
২৯,১৮৭৩) উনিশ শতকের একজন বাঙালি কবি। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জনক। বাংলা
সাহিত্যে চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রচলন করার জন্য
তিনি বিখ্যাত। কপোতাক্ষ নদ তাঁর বিখ্যাত চতুর্দশপদী কবিতা।
জীবনী
মাইকেলের জন্ম হয় যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার
সাগরদাঁড়ি গ্রামের এক হিন্দু পরিবারে। পরবর্তীতে হিন্দু (পরে নাম প্রেসিডেন্সী)
কলেজে পড়ার সময় তিনি খ্রীস্টান ধর্ম গ্রহন করেন। খ্রীস্টান ধর্ম গ্রহন করায় তার
নামের আগে “মাইকেল” নামটি যুক্ত হয়। ইংরেজি ভাষায় মহাকাব্য লিখতে উদ্যত
মধুসূদনকে বাংলায় লিখতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন বেথুন সাহেব। ধনী পিতার সন্তান
হয়েও তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। ফ্রান্সে থাকাকালীন অর্থাভাবে
জর্জরিত মধুসূদনকে টাকা পাঠিয়ে সাহায্য করতেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
কবি তার জীবনের শেষ দিন গুলো তে
এসে জন্মভুমির প্রতি তার ভালবাসার চিহ্ন রেখে গেছেন। তার সমাধিস্থলে নিচের কবিতাটি
লেখা রয়েছে:
“দাড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব
বঙ্গে!
তিষ্ঠ ক্ষনকাল!
এসমাধি স্থলে
(জননীর কোলে শিশু লভয়ে
যেমতি বিরাম) মহীর পদে মহা নিদ্রাবৃত
দত্ত কূলদ্ভব কবি শ্রীমধু সূদন!”
কাব্য: ক্যাপটিভ ল্যাডি (১৮৪৯), তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
(১৮৪৯), মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১) ।
নাটক: শর্মিষ্ঠা(1858),কৃষ্ণকুমারী(1861) পদ্মাবতী(1860) eªRv½bv(1861)|
প্রহসন: একেই কি বলে সভ্যতা,বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ(1960)